Monday, 5 August 2019

               বিহার দানের ফল বর্ণনা

১/বিহার দানের ফল,লোকনাথ বুদ্ধের অযুত মুখ ব্যতীত অন্য কেহই বর্ণনা করিতে সমর্থ হয় না।
২/যাঁহারা সংঘ উদ্দেশ্যে বিহার দান করেন,তাঁহারা সংঘকে প্রকারান্তরে দান করিতেছেন"আয়ু,বর্ণ,সুখ,বল,যশ:ও প্রজ্ঞা”।
৩/জীবন সংশয়কর শীতাদি নানা উপদ্রব নিবারক'বিহার'দান করিয়া দায়কগন ভিক্ষুদের আয়ু রক্ষা করেন।তদ্ধেতু সৎপুরুষগন বিহার দায়কের উপাধি দিয়াছেন ” আয়ু উৎপাদক”
৪/নাতিশীতোষ্ণ আবাসে বাস করিলে 'বল, বর্ণ ও প্রজ্ঞা' বৃদ্ধি পায়।তাই সেই বিহার দাতা ভিক্ষুগনকে দান করিতেছেন 'বল,বর্ণ ও প্রজ্ঞা।
৫/জগতে শীত-গ্রীষ্ম সরীসৃপ ও ঝটিকাদি বহুবিধ নিত্য দুঃখের কারণ নিবারণ-কারী বিহার -দায়ক ভিক্ষুদের সুখ উৎপাদনের হেতু হন।
৬/বিহার দাতা ভিক্ষুগনের 'শীত,উষ্ণ, রৌদ্র, দংশক,মশক,বৃষ্টি, সরীসৃপ ও ভীষণ অহিংস্র জন্তুর উপদ্রব জনিত দুঃখ নিবারণ করেন!সেই হেতু বিহার দায়কের পরলোকে জীবন নিরাপদ হয় এবং বহুবিধ সুখ-ভোগের কারণ উৎপন্ন হয়।
৭/যাঁহারা প্রসন্ন চিত্তে মনোরম বিহার-নির্মাণ করিয়া সংঙ্ঘোদ্দেশ্যে দান করিয়াছেন,তাঁহারা সব কিছুই দান করিয়াছেন বলিয়া কথিত হয়।"বিমানবত্থু "গ্রহন্থে নন্দিক নামক উপাসকের বিহার দান প্রসংঙ্গে যাহা বর্ণনা আছে,তাহাতে দেখা যায়,নন্দিক বিহার দানের সংঙ্গে সংঙ্গেই যাহা দেবলোকে তাহার জন্য দিব্য-বিমান উৎপন্ন হইয়াছিল। তিনি আছেন নরকুলে নরদেহ  বিদ্যমান;অথচ পূণ্যের পুরস্কার দিব্যৈশ্বর্য্য প্রাদুর্ভূত হইল দেবলোকে। তাহার আগমন প্রতিক্ষার সহস্রাধিক অসপরা অবস্থান করিতেছেন সেই বিমানে,আকুল প্রাণে।’লোভ-দ্বেষ -মোহ’ক্ষয় করে দানে। ইহা তৃষ্ণা ক্ষয়ের ও হেতু হয় অম্ভবরূপে।
৮/মাৎসর্য্যমল ও তীব্র লোভাদি ত্যাগ করিয়া যাহারা শীলগুণে সম্পন্ন সংঘকে বিহার দান করেন, তাঁহারা বিগত শোক ব্যক্তির ন্যায় স্বর্গে উৎপন্ন হয়।
৯/ধর্ম প্রাণ ব্যক্তিগণ মনোরম শ্রেষ্ট বিহার নির্মান করিয়া তাহাতে ভিক্ষুবাস করান।তাঁহারা প্রসন্ন চিত্তে সেই ভিক্ষুকে অন্ন পানীয় চীবর ও শয্যাদি স্বহস্তে নিত্য দান করেন।
১০/হে মহারাজ তদ্ধেতু সেই বিহার দায়ক শান্ত সৎপুরুষগণ বিহার দানের ফলে জম্মজম্মান্তরে প্রভুত মনোরম ভোগ সম্পদ ভোগ করিয়া নানাবিধ সুখ স্বাচ্ছন্দ্যোর মাধ্যমে নির্বান লাভ করিয়া থাকেন।ভগবান এইরূপে বিহার দান ফল বর্ণনা ও অনুমোদন করিয়া বেলুবন বিহারে প্রবেশ করিলেন। (শয়ং বুদ্ধ ভাষিত বংশট্ ঠকথায় আছেন)

বিহার -দায়ক দানীয় বিহার,বিহাপ্রাঙ্গণ ও বিহারের সম্পত্তি ভোগ্যদখল করিলে,সংঘ-সম্পত্তি চুরি ও ডাকাতি করার অপরাধে অপরাধী হয়। ধর্মত:রক্ষা করার অধিকার আছে বটে,কিন্তুু ভোগ করিবার নাই। এমনকি আমার বিহার বলিবার ও দায়কের অধিকার নাই তাতেও পাপ আছে।কারণ উহা দানীয় সংঙ্ঘে- সম্পত্তি। বিহার প্রাঙ্গণের গাছ,ফল এমনকি ঘাস পর্য্যন্ত সঙ্ঘের অধিকারে। গরু ছাগলের দ্বারা ঘাস খাওয়ালেই, তাহাও অপরাধে গণ্য হয়।বিনিময়ে গ্রহন করা যাই বটে,কিন্তুু বিহার দায়কের পক্ষে তাহাও অন্যায়। কারণ ইহাতে ক্রমশ’ লোভ;দ্বেষ মোহ ও আমিত্ব“ ভাব আসিয়া পড়ে।

বিহার দানের মহাপূণ্য লাভ করবার জন্য যাহারা বিহার ভূমি দান করেছেন, এবং কায়িক মানসিক ও অর্থীক চতুর দিকে পূণ্য করেই চলেছেন তাহাদের দাতাদের নাম এখানে লিপিবদ্ধ করা হল।

স্বর্গীয় পিতা রমনী রঞ্জন বড়ুয়া, স্বর্গীয় মাতা প্রেমদিনী বালা বড়ুযা তাহাদের সুগতির কামনাই বিহার ভূমিদান করিলাম।
১/নির্মল কান্তি বড়ুয়া-পুত্র, মানিকপুর
২/নিরঞ্জন বড়ুয়া - পুত্র,প্রধান উপদেষ্টা মানিকপুর বিজয়ানন্দ বৌদ্ধ বিহার।
৩/ অমৃত রঞ্জন বড়ুয়া -পুত্র, উপদেষ্টা মানিকপুর বিজয়ানন্দ বৌদ্ধ বিহার
৪/সুমন বড়ুয়া-নাতি-সদস্য,মানিকপুর বিজয়ানন্দ বৌদ্ধ বিহার ও মালেশিয়া প্রবাসি। আমি সকল বৌদ্ধ উপাসক ও উপাসিকাদের আহবান করছি আপনারা যারা দেশ ও বিদেশ অবস্তান করেন আপনাদের প্রয়াতা পিতা ও প্রায়াতা মাতার উদ্দেশ্যে এবং বিহার দানের মহাফল লাভ করতে ইচ্ছুক তাহাদের কে আহবান ও অনুরোধ করছি যেই যেইভাবেই পারেন, বালি,কংকর,সিমেন্ট,লোহা,বুদ্ধের আসন,ভিক্ষু সংঘ থাকার রুম,ভিক্ষু সংঘের ধর্মীয় আসন সহ মানিকপুর বিজয়ানন্দ পূণনির্মানাধিনে আপনারা শ্রদ্ধা দান করতে পারেন। যিনি এই বিহারের আজীবন অধ্যক্ষের পদে আছেন, বর্তমান সময়ের সংঘিক ব্যক্তিত্ব যিনি কিছু  দিন আগে বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহামন্ডল থেকে স্বর্ণ পদকে ভূষিত হয়েছেন, বিনয়শীল, বিদর্শন আচারিয়ো,মৈত্রীবাদী, ভদন্ত: শীলমিত্র স্থবির এর মোবাইল নম্বারে যোগাযোগ করার জন্য এই ফেইজ গ্রুপে দেয়া হয়েছেন।
             
         লেখক:এস,মিত্র নিউজ  ফেইজ গ্রুপের একজন নিয়মিত শুভাকাঙ্ক্ষী, মানিকপুর বিজয়ানন্দ বিহারের উপাধ্যক্ষ,ভিক্ষু প্রজ্ঞাপ্রিয় স্থবির