Saturday, 22 June 2019

বুদ্ধের অচিন্তনীয় গুণের কথাগুলো এই পোষ্টাতে বলা হয়েছেন, আপনি এবং আপনার কিছু সময় নিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং এই ওয়েবসাইটি কে ভিজিট করতে ভুলবেন না

®#বদ্ধ_বলেছেন_অতীত_ও_ভবিষ্যৎ_চিন্তনীয়_নয় ?
-------- সংগ্রহ করছি
বুদ্ধ বলেছেন, পালিঃ-
অতীতং মানুসোচন্তি, নাপ্পাটিকাংখে অনাগতাং,
পচ্চুপ্পন্নে চ যে ধম্মে, তত্থ তত্থ বিপস্সতি।
অনুবাদঃ-
বুদ্ধ বলেছেন, অতীতে ও ভবিষ্যৎ মানুষের চিন্তনিয় নয়, বর্তমানকে ভাব। অতীতে আমি মহাপাপ করেছি, এসব নিয়ে মাথা ঘামাবার প্রয়োজন নেই, হতাশ হবারও কারণ নেই। ভবিষ্যতে কি হব, কেমনে মরব, মরে কোথায় যাব, যাব কি যাব না, হব কি হব না-ইত্যাদি চিন্তামনে স্হান দেয়া উচিত নয়। বর্তমানে আমি কি করছি,,এটিই আমার ভাবনার একমাত্র বিষয়। তাহলে আমি কি কোন সৎকর্ম করার কথা চিন্তা করছি? খুব ভাল কথা, দান-শীল-ভাবনায় রত হই না কেন? দান বড় পুণ্যময় কাজ, বার বার করলে জন্মে জন্মে ভোগ সম্পত্তির অধিকারী  হওয়া যায়। দানের প্রভাবে ভোগ্যবস্তুর অভাব কোনদিন ভোগ করতে হবে না। শীল সে তো সদাচার, চরিত্র গঠনের হাতিয়ার। সৎ চরিত্রবান ও সৎ জীবনের  অধিকারী হতে চাইলে শীল-পালন ও শীলের অনুশীলন একান্ত অপরিহার্য। তবে এই দুই কুশল  কর্মের গতি সুগতি ভূমি পর্যন্ত অর্থাৎ মনুষ্যলোকে ও ছয় দেবলোক পর্যন্ত। পুণ্যক্ষয়ে এসব স্হান থেকে চলে যেতে হবে দূরে, বহুদূরে হঠাৎ ছিটকে পড়ে কোন্ অতলে তলিয়ে যাবে এর কোন ইয়ত্তা নেই। সেজন্য এ দু'টোর সুখ-ভোগ কি আদৌ সভার কাম্য?
এবার ভাবনা। কোন বিষয় একাগ্রমনে পুনঃ পুনঃ স্মরণ করাই হল ভাবনা। ভাবনা প্রধানতঃ দুই প্রকার- শমথ ও বিদর্শন। শমথ ভাবনা আবার চল্লিশ প্রকার। চিত্তের ক্লেশ অর্থাৎ লোভ-দ্বেষ-মোহকে  সংযত করে যে সাধনা সেই চিত্ত শান্তকর ধ্যান-সাধনাকে বলা হয় শমথ ভাবনা।
চিত্তের ক্লেশসমূহকে সমূলে বিনাশ করে প্রজ্ঞা উৎপাদন করার নামই বিদর্শন ভাবনা। অবিরত স্মৃতি রাখার নাধ্যমে এ বিদর্শন ভাবনা করতে হয়। বিদর্শন ভাবনার প্রধান উদ্দেশ্য সত্যকে জানা, সম্যকরূপে জানা এবং নিজেকে শীল-সমাধি-প্রজ্ঞা ও বিমুক্তির সাধনায় সুপ্রতিষ্ঠিত করা।
শীলের আলোচনা পূর্বেই করেছি। সমাধি হল চিত্তের স্হৈর্য বা একাগ্র অবস্হা, যার মাধ্যমে প্রজ্ঞালোকে পদার্পণ করা যায়। প্রজ্ঞা হল বিষয়ের যথাভূত দর্শন জ্ঞান। প্রজ্ঞা অবিদ্যার অন্ধকার বিনাশ করে বিদ্যালোক উৎপন্ন করে। প্রজ্ঞা পঞ্চস্কন্ধের অনিত্য-দুঃখ-অনাত্মভাব প্রকটিত করে এবং পারমার্থিক ভাবে দুঃখ আর্যসত্য বা চতুরার্য সত্যকে মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে সহায়তা করে। বিমুক্তি হল অবিদ্যা তৃষ্ণার মূলোৎপাটন এবং নির্বাণরূপ পরম শান্তিলোকে অবতরণ.......

        বৌদ্ধোচিত কর্মের দ্বারাই মানুষ বৌদ্ধ হয়.....

No comments:

Post a Comment